শিরোনাম
রাণীনগরে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে বিজয় দিবসে জামায়াতের র‍্যালী-বরেন্দ্র নিউজ গোমস্তাপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে গোহালবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে আলোচনা সভা-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাট উপজেলা বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ গোদাগাড়ীতে ৫০ গ্রাম হিরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক-বরেন্দ্র নিউজ গোমস্তাপুর ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে শিবিরের কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ-বরেন্দ্র নিউজ ভোলাহাটে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত-বরেন্দ্র নিউজ
করোনা সংক্রমণ ভীতিতে ভারতে সংবাদপত্র ছাপা বন্ধ

করোনা সংক্রমণ ভীতিতে ভারতে সংবাদপত্র ছাপা বন্ধ

করোনা সংক্রমণ ভীতিতে ভারতে সংবাদপত্র ছাপা বন্ধ – ছবি : সংগৃহিত

সংবাদপত্রের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস একেবারে ঘরে ঢুকে পড়তে পারে, এরকম একটা ভয় তৈরি হয়েছে ভারতের নানা প্রান্তে। ফলে সংবাদপত্রের বিক্রি হুহু করে কমছে।

সে কারণে, মুম্বাইয়ের বেশ কিছু সংবাদপত্র যেমন তাদের মুদ্রিত সংস্করণ বন্ধ করে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বেশ কিছু কাগজও বৃহস্পতিবার বের হয়নি।

কলকাতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পঠিত কাগজ বলে পরিচিত বর্তমানের কোনো মুদ্রিত সংস্করণ বের হয়নিনি আজ। বন্ধ হয়েছে আজকাল ও সিপিআইএম দলের দৈনিক মুখপত্র গণশক্তিও।

সংবাদপত্রগুলোর প্রকাশকেরা কদিন ধরেই পাঠকের মনের এই আশঙ্কার কথা টের পাচ্ছিলেন। তাই শুরু হয়েছিল বিজ্ঞাপন এবং খবরের মাধ্যমে মানুষের মনের এই ভয় কাটানোর নানা চেষ্টা।

কলকাতায় সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডি ডি পুরকায়স্থ গণমাধ্যকে বলেন, ‘আমরা তো বিজ্ঞাপন দিয়ে আর খবরের মাধ্যমে মানুষের মনে এই ভয়টা কাটানোর চেষ্টা করছি যে এটার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিই নেই। তা সত্ত্বেও একটা গুজব ছড়িয়েছে। এরকম কঠিন সময়ে তো আসল ভাইরাস যত না দ্রুত ছড়ায়, তার থেকে দ্রুত ছড়ায় গুজব।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দুটি পত্রিকা আনন্দবাজার ও দ্যা টেলিগ্রাফ। দুটিই সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় ছাপা হয় এবং নিরাপদেই পৌঁছে কাগজের পরিবেশকদের কাছে।

তবুও বহু মানুষ নিজের থেকেই কাগজ নিতে চাইছেন না সকালবেলা নিজেরাই সংবাদপত্র হকারদের বারণ করে দিচ্ছেন। যেমন দক্ষিণ কলকাতার এক বাসিন্দা শৈবাল দাশগুপ্ত।

তিনি বলেন, সংবাদপত্র ছাপা হয়তো হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে, কিন্তু ডিস্ট্রিবিউটরের পরে সেটা যখন বিলি হচ্ছে আমাদের বাড়িতে, সেই প্রক্রিয়াটা কতটা নিরাপদ, কতটা জীবানুমুক্তভাবে সেটা করা হচ্ছে সেটা তো আমরা জানি না।

ছাপাখানা থেকে বেরনোর পর তো একটা কাগজ নানা জায়গা হয়ে তারপরে আমার বাড়িতে আসছে। এর মধ্যে কোনো জায়গা যে সংক্রমিত নয়, বা যে হকার কাগজ দিচ্ছেন, তিনি যে কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেনি তার কোনো গ্যারান্টি তো নেই।

তাই একটা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাড়িতে কাগজ নেওয়াটা বন্ধ রেখেছি বলে জানান দাশগুপ্ত।

সংবাদপত্র থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনার বিষয়ৈ জানিয়েছেন কলকাতার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন এন্ড পাবলিক হেল্থ-এর পরিচালক মধুমিতা দেব।

তিনি জানান, সংক্রমণ ছড়ানোর একটা সম্ভাব্য মাধ্যম সংবাদপত্র ঠিকই। কিন্তু আলাদা করে শুধু কাগজের ওপরে জোর দেওয়াটা ঠিক নয়। সংক্রমিত রোগীর ড্রপলেট শুধু কাগজ কেন দরজার হাতল, চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার সহ অনেক জায়গাতেই পড়তে পারে। এখানে শুধু কাগজের ওপরে জোর না দিয়ে ওই সবকটি জিনিস হাতের সংস্পর্শে আসার পরেই হাত ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা দরকার।

অর্থাৎ, সংবাদপত্র থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই, তা নয়। তবে শৈবাল দাশগুপ্ত মনে করেন কারেন্সি নোট বা প্যাকেট বন্দি খাবারের থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

আর কাগজও যেহেতু একটা সম্ভাবনা, তাই সেটাকে আপাতত বন্ধ রেখেছি। আর খবর জানার জন্য ওই সব কাগজের ইন্টারনেট সংস্করণ তো আছেই,” শৈবাল দাশগুপ্ত বলেন।

আর এই একই ভয় থেকে বহু মানুষ নিজেরাই কাগজ দিতে বারণ করে দিয়েছেন হকারদের। ফলে, হু হু করে কমছে কাগজের সার্কুলেশন।

উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সোদপুর শহরের এক বড় সংবাদপত্র বিক্রেতা দীননাথ সিংহ রায়। তিনি বলছিলেন, কাগজ বন্ধ হওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে, শুধুই যে পাঠকের ভয়, তা নয়। ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলেও আমরা যে কাগজ আনতে পারছি না কলকাতা থেকে, সেটাও একটা কারণ।

তিনি আরো বলেন, আবার যে হকাররা বাড়ি বাড়ি কাগজ দেন, তিনিও এই লকডাউনের মধ্যে বাড়ির বাইরে বেরুতে সাহস পাচ্ছেন না। রাস্তায় লোক নেই, তাই পথ-চলতি মানুষ যে সংখ্যক কাগজ কিনতেন, সেটা অর্ধেকেরও কম হয়ে গেছে। আমরা তাই কাগজ নিয়ে এসে জমিয়ে রেখে কী করব?

কয়েকটি সংবাদপত্র এজেন্ট এবং হকারদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে গ্লাভস দিয়েছিল। তবে সিংহ রায় বলেন যে ওই গ্লাভস একবার ব্যবহার করেই ফেলে দিতে হয়।

বর্তমান পত্রিকার প্রকাশক জীবানন্দ বসু বলছিলেন, শুক্রবার থেকে তারা আবারো ছাপা শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন জানিয়ে বলেন, কাগজের বিতরণ ব্যবস্থা ভীষণভাবে মার খাচ্ছে। সেজন্যই বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি আজ। কিন্তু এরমধ্যেই আমাদের কাছে এজেন্টরা যে খবর পাঠিয়েছেন, তাতে অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, সেজন্য শুক্রবার আমরা আবার কাগজ ছাপব। এরকম একটা কঠিন সময়ে বর্তমান পত্রিকা মনে করে যে সাধারণ মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ খবর, তথ্য পৌঁছিয়ে দেওয়াটা একটা গুরুদায়িত্ব।

তবে মুম্বাইয়ের সংবাদপত্রগুলি পয়লা এপ্রিলের আগে কাগজ ছাপবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




<figure class=”wp-block-image size-large”><img src=”http://borendronews.com/wp-content/uploads/2020/07/83801531_943884642673476_894154174608965632_n-1-1024×512.jpg” alt=”” class=”wp-image-17497″/></figure>

© All rights reserved © 2019 borendronews.com
Design BY LATEST IT